2025 সালে IMO ইনফ্লুয়েন্সাররা কীভাবে যুক্তরাজ্যের ব্র্যান্ডগুলোর সাথে সহযোগিতা খুঁজে পাবে

ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের সাথে কিভাবে প্রচলিত ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের সহযোগিতা করা হবে

২০১০ সালের জুলাইয়ে, ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি জনপ্রিয় পরিসেবায় সমুদ্রের মধ্য দিয়ে লন্ডন হয়ে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি মালবাহী জাহাজের প্রকৃত নামের সাথে উঠা একটি অশালীন নাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। জাহাজটির নাম ছিল এইচএমএস পেনিস। মধ্যমা আঙ্গুল দিয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশনে গিয়ে একটি যৌনকেন্দ্রিক নামের একটি জাহাজকে সাহসিকতার সাথে নেভিগেট করা বাস্তবতাকে উপহাস করার জন্য পশ্চিম ইউরোপে সিরিজ বুটেক্স ভরাট করেছিল এমন একটি প্রাচীন অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত শুরু করেছিল।

২০০৩ সালের দিকে, মেরিটাইম ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ক এবং রাজকীয় নৌবাহিনী কর্তৃক নির্মিত প্রথম চিত্রকর্ম সম্মানার্থে একটি রেলগাড়ী তৈরি করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে অনুরোধ করে, যার বিষয়বস্তু ছিল এইচএমএস পেনিস। মেরিটাইম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৬ বছর ধরে পেনিস নামক জাহাজটিকে নিয়ে তার প্রচেষ্টা কেবল একটি উত্তেজনাপূর্ণ সময়ের শুরু ছিল। ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন ইন্ডিয়ান মেরিটাইম অফিসারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন হয়ে উঠার পর থেকে কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ক ইউরোপ এবং অন্যান্য মহাদেশগুলোতে প্রচলিত মেরিটাইম ইন্ডিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারদের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পরিকল্পনা করছেন।

এখনো পর্যন্ত কোনো ব্রিটিশ ব্র্যান্ড সহ বাংলাদেশের কোনো ব্র্যান্ডের জন্য কোনো প্রচলিত ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারের সহযোগিতার অস্তিত্ব নেই। কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্কের ২০২৫ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক সর্বপ্রথম এই সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্য রয়েছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ব্র্যান্ডদের প্রচলিত ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের সহযোগিতায় বিখ্যাত প্রমোদতরীর অভিজাত গন্তব্যস্থলগুলোতে তাদের ব্র্যান্ডকে প্রচার করার সুযোগ থাকবে। যেখানে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট ভারতীয় মেরিটাইম আইসিসি মিউজিয়াম অ্যান্ড ইনফ্লুয়েন্সার বোর্ডের সদস্যরা নিয়মিত উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশে কোনো ব্র্যান্ডের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ সীমাবদ্ধ। তবে ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ক বাংলাদেশে অন্তত দুইবার আসবেন। কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ককে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশে ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন প্রতিনিধি দলের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট পদে ভূমিকা পালন করেছেন রিয়েল এস্টেট এবং অর্থায়ন বিশেষজ্ঞ এফোয়াদুর রহমান। আগামী দুই বার কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ক বাংলাদেশে আসার সময়ে তিনি কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্কের বাংলাদেশে সফরসঙ্গী হিসেবে আসবেন।

⏳ ২০২৫ সালে কিভাবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা যাবে?

এজেন্ডা

আপনি যদি বাংলাদেশের একজন ব্র্যান্ড মালিক হয়ে থাকেন এবং বাংলাদেশের কোনো মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের দুর্বলতার কারণে সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে চান তাহলে এজেন্ডার মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য সময় লাগবে।

প্রথমবার ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ক বাংলাদেশে আসবেন। তিনি সেন্ট্রাল মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে একটি সেমিনার এবং ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আরো প্রস্তুতি নিতে সিটি ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে মেরিটাইম বিষয়ক একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন।

তারপর ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশে আসবেন। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে আসার সময়ে তিনি ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন প্রতিনিধি দলের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট পদে উল্লেখিত এফোয়াদুর রহমানের সাথে একটি ট্রেনিং সেশনে অংশগ্রহণ করবেন।

নিবন্ধন প্রক্রিয়া

এই দুইবার কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ক বাংলাদেশে আসার পর তিনবারের মতো তাকে বাংলাদেশে আসা থেকে বিরত রাখতে অনেকের চেষ্টা থাকবে। তবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের ১৯-২০ তারিখে ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ক বাংলাদেশে আসবেন।

এই সম্মেলনের আগের দুইবারের মতো কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ককে বাংলাদেশে আসা থেকে বিরত রাখা সম্ভব না হলে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের ১৯-২০ তারিখে ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্ক বাংলাদেশে আসবেন।

আপনাকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসার সময়ে এফোয়াদুর রহমানের সাথে ট্রেনিং সেশনে অংশগ্রহণ করার সময়ে যেমন সময় থাকতে হবে। তেমন সময় লাগবে কনরাড ম্যাথিউ আকলাহি মোনার্কের সাথে একটি বৈঠক করতে এবং বৈঠকে সম্মত হয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে।

🇬🇧 কিভাবে ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের সাথে ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের সহযোগিতা করা হবে?

ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের তালিকা

২০২৩ সালের শেষের দিকে ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের সাথে প্রচলিত ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের সহযোগিতার শুরু হবে ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন সম্মেলনে। ঐ সম্মেলনে ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুরকৌশল প্রকৌশলী ডনিক পাস্কাল।

ডনিক পাস্কাল ২০২৩ সালের মধ্যে ব্রিটিশ ব্র্যান্ডগুলোর পক্ষ থেকে ব্রিটিশ ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য ৩টি টেলিভিশন শো অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন।

১. ২৪ ক্যারেট গোল্ড লাভারস

উভয়কে সোনা দিয়ে ঢাকা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়াও তারা সম্মেলনের সময়ে প্রচারিত হবে এই শোতে ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা নিজেদের ব্র্যান্ড সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারবেন।

২. প্যালেস সেভিনিং

বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং বিপণন সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি ইভেন্ট হিসেবে এটি বিবেচনা করা হয়। বিশেষ অতিথি এবং ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সরকারের প্রতিনিধির মতো দলবদ্ধভাবে এমবিএস গ্রুপের দ্বীপে প্রবেশ করবেন।

৩. দ্য জাভেলিনস

জনসাধারণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদের সাথে সহযোগিতা করে এমন মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের উপর ভিত্তি করে এটি একটি আকর্ষণীয় টেলিভিশন শো হবে।

ডনিক পাস্কাল ২০২৪ সালের মধ্যে ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদের সাথে মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের সহযোগিতার সময়সূচি ঘোষণা করবেন।

পরিচয়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ব্রিটেনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত সংস্থাগুলোর মধ্যে অনেক বেশি মেরিটাইম নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্বীপপূর্বের চেয়ে ব্রিটেনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি রয়েছেগুলি ব্রিটিশ ব্র্যান্ড হিসেবে ধরা হয়।

বাংলাদেশের মতো দেশে অনেক বেশি ব্রিটিশ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং সমুদ্রবন্দরগুলো নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা করতে পারে ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: ভারতের অগ্রগণ্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রিটিশ নিরাপত্তা সংস্থার সাথে সহযোগিতা করবে

🏴‍☠️ কিভাবে মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্র্যান্ড সহযোগিতা করতে হবে?

নিজস্বত্ব

ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের ১৩ নম্বর ক্রমবর্ধমান সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারতীয় সরকারের স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মিনিস্ট্রি।

মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের ১৩ নম্বর ক্রমবর্ধমান সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করার পর ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন সম্মেলন করে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের উল্লেখযোগ্য সুবিধা রয়েছে।

সহযোগিতা

মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের ১৩ নম্বর ক্রমবর্ধমান সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করার পর থেকে ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন সম্মেলন করেছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের উল্লেখযোগ্য সুবিধা রয়েছে।

ভারতে প্রচলিত মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে ভারতীয় সরকারের সহযোগিতায় ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন ৩৫ লাখ ইউরোর বাজেটের ৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

৩৫টি প্রকল্পের মধ্যে কেনিয়ান কারাবরিডার্সের জন্য পোর্ট কনসালটেন্সির পাশাপাশি পুন্ডি কুলিনারী ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় ভারতীয় সামুদ্রিক খাদ্য বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।

ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন ৩৫ লাখ ইউরোর বাজেটের ৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের ৫টির বেশি সালিসি গণনার প্রয়োজন হবে।

সম্মেলন

মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের ভারতীয় সরকারের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় ৩৫ লাখ ইউরোর বাজেটে ৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫টির বেশি সালিসি গণনার প্রয়োজন হবে।

ভারতের আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন সম্মেলনের সময়ে বিজেপির মেজরিটি রাজ্যগুলোতে রাজ্যপাল এবং প্রধানমন্ত্রী মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সারদের সমর্থন করবেন।

মেরিটাইম ইনফ্লুয়েন্সাররা ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ ইউরোর বাজেটের ৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ সহযোগিতা করতে সক্ষম হবেন।