বাংলাদেশী টিকটক ইনফ্লুয়েন্সাররা কেন ইউনাইটেড আরব আমিরাতের সহযোগিতা খুঁজে পাক তা নিয়ে আলোচনা
ইউনাইটেড আরব আমিরাতে (ইউএই) অবস্থান করছেন বাংলাদেশী টিকটক ইনফ্লুয়েন্সাররা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে সহযোগিতা খুঁজে পেতে টিকটক ভিডিও পোস্ট করছেন।
বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত ইনফ্লুয়েন্সাররা তারা কিভাবে একজন বিদেশী হিসেবে ইউএই ব্র্যান্ডগুলোর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন, সেই প্রক্রিয়াগুলো ভিডিও কনটেন্টে তুলে ধরছেন।
টিকটক ইনফ্লুয়েন্সারদের এই পদক্ষেপের ফলে ব্র্যান্ড গুলো তাদের বার্তাটি সঠিকভাবে ফোকাস করতে সক্ষম হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বাংলাদেশী ইনফ্লুয়েন্সাররা ইউএই বাজার এবং সেই বাজারের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
📢 বাংলাদেশী ইনফ্লুয়েন্সারদের টিকটক পোস্টের বিষয়বস্তু
বাংলাদেশী টিকটক ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিডিও পোস্টগুলো সাধারণত ইউএই ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার লক্ষ্যে গঠন করা হয়।
শুরুতে দেশে ফিরে যাওয়ার পূর্ববর্তী কিছুকাল ইউএই তাদের অবিলম্বে গৃহযুদ্ধ রোধের লক্ষ্য নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেন সালমা মনি। ভিডিওতে দেশের বিদেশি মিশনগুলোর বা রাষ্ট্রদূত কিংবা দেশে অবস্থিত কনস্যুলেট অফিস কেন্দ্রগুলোর কোনটিরও কোন ভূমিকায় বাংলাদেশী প্রবাসীরা দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো যুদ্ধপূর্ণ দেশগুলো থেকে বৈধভাবে দেশে ফিরতে পারেন তা অনুলিপি করার আহ্বান করেন।
বর্তমানে ইউএইয়ে অবস্থানরত অনেকেই স্পষ্টভাবে বলতে পারেন, এই ভিডিওটি বাংলাদেশের সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের মাঝে ব্যাপকভাবে পেঁছে গিয়েছে। ফলে ভিডিওটি নিচে ইউএই ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্দেশ্যে ইউএইতে অবস্থানরত টিকটক ইনফ্লুয়েন্সাররা পোস্ট করেছেন।
ব্র্যান্ডগুলো থেকে সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে আবির হাসান ভিডিও পোস্ট করে উল্লেখ করেন, ‘বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে বানিজ্যিকভাবে যুক্ত থাকা কোম্পানিগুলো ইউএইয়ে কিভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে, তার কাজগুলো কিভাবে তাদের কার্যক্রমগুলো উন্নত করে এবং সেই কার্যক্রমগুলো কিভাবে দেশটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে সে বিষয়গুলো অন্তুত্তর উপর ইনফ্লুয়েন্সাররা ভিডিও কনটেন্টে তুলে ধরছে।'
📢 কিভাবে ভিডিও কনটেন্টগুলো ইউএই ব্র্যান্ডগুলোকে সহযোগিতা পাওয়ার লক্ষ্যে লক্ষ্যবস্তু পেতে সহায়তা করবে?
টিকটক ভিডিও কনটেন্টগুলো ইউএই ব্র্যান্ডগুলোর কাছে সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যে লক্ষ্যবস্তু পেতে নীচে উল্লেখিত বিষয়গুলো সহায়তা করবে।
১. ইউএইয়ে অবস্থানরত প্রথম থেকেই ভিডিও কনটেন্টগুলো স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর কাছে তাদের সংগঠনগুলোর উন্নতির প্রতি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।
২. স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর উন্নতির কারণে তারা ইউএইতে অবস্থানরত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব ভিডিও কনটেন্টগুলো ব্যবহার করতে উৎসাহিত করবে।
৩. সবশেষে ভিডিও কনটেন্টগুলো ইউএই ব্র্যান্ডগুলোর কাছে সহযোগিতা পাওয়ার লক্ষ্যে আশা আশাবাদীর মতো কাজ করবে।
৪. ইউএই ব্র্যান্ডগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে এই ভিডিও কনটেন্টগুলোর মাধ্যমে স্থানীয় বাজার এবং সেই বাজারের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে প্রচুর পরিমাণে তথ্য পেতে সক্ষম হবে।
📢 পশ্চিমা টিকটক ইনফ্লুয়েন্সাররা ইউএই ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা কীভাবে কাজ করে তা আলোচনা
আসলে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য জনগণের মতো ইউএই ব্র্যান্ডের কাছ থেকে বাংলাদেশী ইনফ্লুয়েন্সারদের সহযোগিতা পাওয়া ব্যাপারটিকে রহস্যের রূপ দেওয়া হয়েছে।
এটি যখন পশ্চিমা দেশগুলোর টিকটক ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্র্যান্ডগুলো থেকে সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়, তার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
পশ্চিমা টিকটক ইনফ্লুয়েন্সাররা পাবলিক সেক্টরের ব্র্যান্ডগুলো থেকে সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করে সে বিষয়ে আলোচনা করেছে ইউএই কনস্ট্রাকশন এক্সপো ২০২৩ শীর্ষক একটি সংবাদ সম্মেলনে; যা চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে ২৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানি, বাংলাদেশী, ভারতীয় এবং আফ্রিকার অন্যান্য জনগণের পরিস্থিতির মতো পশ্চিমা টিকটক ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো সমান।
জানা যায়, সময়ের সাথে সাথে টিকটক ইউএই ব্র্যান্ডগুলো থেকে সহযোগিতা পাওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করা ইউএই টিকটক ইনফ্লুয়েন্সাররা আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে লোকসানে যেতে পারে।
সরকারি ও বেসরকারি খাতের এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ইউএই ব্র্যান্ডগুলো স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো ব্যতীত বিভিন্ন দেশের ইনফ্লুয়েন্সারদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়ে থাকে।
এটি এমন সময়ে ঘটছে যখন ইউএই টিকটক ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য আইনি বিধিনিষেধ আরোপের নিদর্শন দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের টিকটক ইনফ্লুয়েন্সাররা বাংলাদেশী ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে সহযোগিতা খুঁজে পেতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে।