বাংলাদেশ লাইকি ইনফ্লুয়েন্সাররা যত সহজে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্র্যান্ডের সাথে সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারে
মার্চ ২০২৩ থেকে শুরু করে জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ লাইকি ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
দেশের ৩ কোটি তরুণ-তরুণীর লাইকি অ্যাপ ব্যবহার তাদের জন্য স্বাভাবিকভাবে জন্য একটি সম্ভাব্য বাজার হয়ে কাজে দিচ্ছে বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন লাইকি ব্র্যান্ডিং এজেন্সির কাছে।
তাই, যেকোনো বাংলাদেশী লাইকি ইনফ্লুয়েন্সার ইউনাইটেড আরব এমিরেটসে ভীষণ সহজেই ব্র্যান্ড সহযোগিতার কাজ পেতে পারে।
📊 ২০২৫ সালের মধ্যে লাইকি ইনফ্লুয়েন্সার গম্ভীর বাজারের অবস্থান তৈরি করবে
ইউনাইটেড আরব এমিরেটসে বাংলাদেশের প্রবাসির সংখ্যা সর্বাধিক। যারা মূলত দালাল সূত্রে সেখানে চলে যায়। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ লক্ষের বেশি বাংলাদেশী প্রবাসী নিয়ে থাকবে ইউনাইটেড আরব এমিরেটস। প্রতিবছর ইউনাইটেড আরব এমিরেটস বাংলাদেশের ২১ শতাংশ রেমিটেন্স করে। বাংলাদেশের মধ্যে রেমিটেন্স সংক্রান্ত অর্থনীতিকে ইউনাইটেড আরব এমিরেটস কেন্দ্রীয় এক অবস্থানে নিয়ে তৈরি করেছে। যেখানে বাংলাদেশী সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গভীরভাবে সেখানে ইউকে ইলিট লাইকি ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে সম্প্রতি লাইকি দিয়ে প্রমোশনের স্পার্কস ইন এয়ার, সামগ্রী বিভাগে স্টার্ট আপ বিজয়ী, পাঠাওয়ের রিএলম অর্জন করেছে বিজনেস অ্যাওয়ার্ড উইনার ২০২৩ সেরা আরও ভালো সেবা নিয়ে থাকছে লাইকি। যেখানে বিনোদন সৃষ্টিকারক দেশের ২-৩ স্টার্ট আপ মিউজিক গুগল বিজয়ী এবং ২০২৩ টিওপিতে রয়েছে দেশের ২১ ব্র্যান্ড রিভিউ বিজয়ী হিসেবে ডিজিটাল ম্যারকেটিংয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে লাইকি।
এফবিডিএস, গুগল বিজনেস, গুগল ইউটিউব, গুগল নিউজ, ফেসবুক বিজনেস, ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম বিজনেস, গুগল অ্যাপস, নাইকন, এশিয়া রেটিং, হোয়াইট পেজ কোম্পানী, সেবার মাধ্যমে লাইকি উইথ অ্যাকাউন্ট লাইকি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পোক্ত করেছে। ব্র্যান্ড প্রমোশনের ক্ষেত্রে অপো, ভিভো, হুয়াওয়ে স্যামসাং, আইফোন, গ্যামিং বল, টিফো, পোকিমন, থিয়েটার, টিবি সিরিজ, সায়েন্স ল্যাব, নোমান অ্যাওয়ার্ড ও অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ডের মতো বিজয়ী আরও অনেক পুরস্কার জিতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে লাইকি জায়গা সুনিশ্চিত করেছে।
💡বাংলাদেশ লাইকি ইনফ্লুয়েন্সারদের ইউনাইটেড আরব এমিরেটসের ব্র্যান্ডে কাজ পেতে প্রয়োজনীয় নিয়ামক
বাংলাদেশী লাইকি ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজ নিজ লাইকি পেজকে ইংরেজিতে ইউনাইটেড আরব এমিরেটসের বাংলা, আরবী এবং ইংরেজি হাসদের কাজ করতে হবে। কারণ ইউনাইটেড আরব এমিরেটসে ৬০,০০০ বাংলাদেশী কাজ করে এবং ২.০ মিলিয়ন প্রবাসী কর্মকর্তার অবস্থান রয়েছে। এছাড়া ২০০৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশি পরিষদ তেমন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি যার কারণে প্রবাসীরা সুনাম দিয়ে বাংলাদেশ লাইকি ইনফ্লুয়েন্সারদের প্রভাব আনেকটা সাহায্য করবে।
❗ লাইকি ইনফ্লুয়েন্সারদের বাংলাদেশ থেকে ইউনাইটেড আরব এমিরেটসের ব্র্যান্ডে কাজ পেতে সমস্যা
লাইকি ইন্ডিয়া এর বাংলা ভার্সন ২০২১ সালে প্রকাশ পেয়েছিল। সেখানে ২০২২ সালের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতীয় লাইকি ইনফ্লুয়েন্সারদের সংখ্যা ২৪ লক্ষ হয়েছে। তার অর্থ বাংলাদেশের ১.৫ কোটি লাইকি ব্যবহারকারীর তুলনায় ২৫ গুণ বেশি লাইকি ইনফ্লুয়েন্সার পাওয়া যাচ্ছে ভারত। কারণ অ্যাপটির মূল কার্যালয় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত এবং এরপর ভারতে। অপরদিকে বাংলাদেশে লাইকি অ্যাপ দিয়ে ব্র্যান্ড প্রমোশনের কোন পজিটিভ সংবাদের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এককভাবে একজন বাংলাদেশী লাইকি ইনফ্লুয়েন্সার ঢাকার ভিতরও ঘুরে ঘুরে কাজ করতে পারে না। এটি কেবল ভারতে একজন লাইকি ইনফ্লুয়েন্সার কারেন্সি বিষয়ক কাজ করতে পারে, বাংলাদেশী লাইকি ইনফ্লুয়েন্সাররা পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারত সফর করে কাজ করতে পারে।
এর কারণ বাংলাদেশের ভারতীয় উপমহাদেশের লাইকি ইনফ্লুয়েন্সারদের তুলনায় কম ব্র্যান্ড রয়েছেন। আরো একটি প্রধান কারণ হলো ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের লাইকি ডিসকাউন্ট। বাংলাদেশে একজন লাইকি ইনফ্লুয়েন্সাররা ৭৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে কাজ করতে হয়। তার মধ্যে প্ল্যাটফর্ম চার্জ, প্রোটেকশন চার্জ, ফান্ডিং এবং একাউন্টিং ফিস, তালিকাভুক্তির জন্য চার্জসহ বিভিন্ন খরচের পর নির্ধারিত অর্থের প্রায় কিছুই সকল লাইকি ইনফ্লুয়েন্সাররা কাজ পেয়ে অর্জন করতে পারেনা। অথবা টাকার অংক হতে ভারতে ভারসাম্য পরিবর্তন করে যা বাংলাদেশের লাইকি ইনফ্লুয়েন্সাররা কিছুই অর্জন করতে পারেনা।
বাংলাদেশ বাংলাদেশের বাজারে লাইকি অ্যাপের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তবে বাংলাদেশের জন্য লাইকি ইনফ্লুয়েন্সারদের মার্কেটে একটা উৎকর্ষ হতে হবে আর বিশেষ করে ইউনাইটেড আরব এমিরেটসে লাইকি ইনফ্লুয়েন্সারদের তা করলেই জিনিষটা সম্ভব হবে।