কিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞাপনদাতা কোরা ব্যবহার তাদের ব্র্যান্ড বাংলাদেশের কোরা ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে প্রচার করে

দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এবং বৃহত্তম বাজার। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা যেমন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বাংলাদেশের কোরা ব্যবহারকারীকে দক্ষিণ কোরিয়ার কম্পানির পণ্য ফ্রি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন, সন্ত্রাস বিরোধী বাহিনী, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে গবেষণা এবং ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করার জন্য দায়ী একটি উপসংস্থানে এসেছে।

তারা তদন্তের সময় বলেছিল যে এই অত্যাধুনিক দেশের উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও তাদের অন্তর্ঘাতী কার্যকলাপ মোকাবেলায় দুর্বলতা রয়েছে।

বাংলাদেশের কোরা ব্যবহারকারীরা কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানির বিশেষ ডিসকাউন্ট সহ পণ্য জিতে নেবেন সে সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার উল্লিখিত সংস্থার একজন কর্মকর্তা কোরা ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু টিপস দিয়েছেন।

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে যে তারা কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানির কোরা ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য প্রচারের মাধ্যমে সহযোগিতা করবে?

🎁 দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানির পণ্য জিতে নেবেন কীভাবে কোরা ইনফ্লুয়েন্সাররা?

সুতরাং, দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো কোরা ব্লগ ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের পণ্য জনপ্রিয় করতে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ব্যবহার করছে। কোরা ব্লগিং সাইট ব্যবহারকারীরা দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানির প্রচারমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে কোম্পানির পণ্য জিততে পারেন।

“এটা সত্য যে কোরিয়ান কোম্পানির বাংলাদেশী কোরা ব্লগ ব্যবহারকারীদের কাছে প্রচার লাভকে গুরুত্ব দেয়। তারা তাদের পণ্য প্রচারের জন্য কোরা ব্যবহারকারীদের উপর নির্ভর করছে। এছাড়াও, কোরিয়ান কোম্পানির বাংলাদেশী কোরা ব্লগ ব্যবহারকারীদের প্রচারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা তাদের পণ্য প্রচারের জন্য কোরা ব্যবহারকারীদের উপর নির্ভর করছে,” বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শওকত আলী।

কোরিয়ান কোম্পানির পণ্য পাবেন কিভাবে?

তিনি বলেন, কোরা ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীরা দেখবেন যে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্র্যান্ডগুলোর বৈশিষ্ট্য সংক্রান্ত পোস্ট সারাদেশের বিভিন্ন লোকেশনে স্থানীয় ভাষায় ব্লগ করা হচ্ছে।

“যে কেউ একটি কোরা ব্লগ লিখতে পারে। কোরিয়ান কোম্পানির স্থানীয় ভাষায় কোরা ব্লগিং ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রচার খুব কার্যকর হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের অনেক কোরা ব্লগ ব্যবহারকারী আছেন যারা বিভিন্ন কোরিয়ান কোম্পানির পণ্য জিতেছেন বা তাদের বিনামূল্যে পণ্য দেয়ার জন্য কমিশন পেয়েছেন,” যোগ করেন অধ্যাপক শওকত।

তিনি বলেন, ব্যবহারকারীরা কোরা ব্লগ লিখে কোরিয়ান কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য জিততে পারেন। কোরা ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোরিয়ান কোম্পানির বিশেষ ডিসকাউন্ট সহ পণ্য জিতে নিতে পারেন।

কোরিয়ান কোম্পানির পণ্য পেতে যা করতে হবে কোরা ব্যবহারকারীদের

“কোরিয়ান কোম্পানির পণ্য পেতে তাদের পণ্য সম্পর্কে কোরা ব্লগ লিখতে হবে। এছাড়াও, কোরা ব্যবহারকারী তাদের পণ্য সম্পর্কে পোস্ট করা প্রচারের বিষয়ে মন্তব্য করতে হবে।”

“অথবা কোরিয়ান কোম্পানির পণ্য সম্পর্কে প্রশ্ন লিখে তাদের ব্লগ লিখতে বলবেন এবং কোরা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উত্তর দিতে বলবেন। উত্তর দেওয়ার পর, কোরিয়ান কোম্পানির বিশেষ ডিসকাউন্ট সহ তাদের পণ্য পাওয়া যাবে,” বলেছেন অধ্যাপক শওকত।

“বাংলাদেশের কোরা ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রচারের জনপ্রিয়তার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানির কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফরের সময় অনেকে তাদের পণ্য জিতেছেন,” যোগ করেন অধ্যাপক শওকত।

কোরিয়ান কোম্পানির সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবেন?

এদিকে, বিভিন্ন কোরিয়ান কোম্পানি বিপুল পরিমাণে কোরা ব্লগিং ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রচার করছে। কম্পিউটিং এবং পরামর্শকারী সংস্থা মাউন্ট কিমালু, কোরিয়ান পণ্য এবং খাদ্যপণ্য বিক্রির ব্যবসা করপোরেশন কোরিয়া, জে কোরিয়া এবং কোরিয়া বেভারেজ কাভি, লিমিটেড, ওয়াটসঅ্যাপসহ কোরা ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে যোগাযোগের অনেক উপায় ব্যবহার করেছে।

“দক্ষিণ কোরিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে চীনা ও ভারতের অস্ত্রবিরতি চেয়ে বিডিসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনের সময় বাংলাদেশের কোরিয়ান কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথেও দেখা করেছি,” বলেন অধ্যাপক শওকত।

তিনি আরো বলেন, “এমনকি কোরিয়ান কোম্পানি যারা বাংলাদেশে তাদের শাখা ম্যানেজার নিয়োগ করেছে তাদের মধ্যে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্মকর্তারাও আছেন।”

কোরা ইনফ্লুয়েন্সারদের কিভাবে কাজে লাগান কোরিয়ান কোম্পানি?

তাদের মধ্যে রয়েছেন পিভেট কোরিয়া কেমিক্যালস কোরিয়ান কোম্পানির বাংলাদেশ অফিস ম্যানেজার জান কিম এবং কোরিয়ান কোম্পানি কোরিয়া ইভেন্টিজের অফিস মাস্টার জেই কোং। তারা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের খুলনা অফিসে আসেন।

পিভেট কোরিয়া কেমিক্যালস কোরিয়ান কোম্পানির বাংলাদেশ অফিস ম্যানেজার জানান, তারা বিশেষভাবে কোরিয়ান কোম্পানির পণ্য প্রচারের কাজের জন্য কোরা ব্লগ ব্যবহারকারীদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

“কোরিয়ান কোম্পানির পণ্য পেতে তাদের পণ্য সম্পর্কে কোরা ব্লগ লিখতে হবে। এছাড়াও, কোরা ব্যবহারকারী তাদের পণ্য সম্পর্কে পোস্ট করা প্রচারের বিষয়ে মন্তব্য করতে হবে।”

“অথবা কোরিয়ান কোম্পানির পণ্য সম্পর্কে প্রশ্ন লিখে তাদের ব্লগ লিখতে বলবেন এবং কোরা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উত্তর দিতে বলবেন। উত্তর দেওয়ার পর, কোরিয়ান কোম্পানির বিশেষ ডিসকাউন্ট সহ তাদের পণ্য পাওয়া যাবে,” বলেন জান কিম।

ভারতীয় কোম্পানির সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবেন কোরা ইনফ্লুয়েন্সাররা?

এদিকে, ভারতীয় কোম্পানিরও কোরা ব্লগিং ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে পণ্য প্রচারনা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কোরিয়ান কোম্পানির মতো সেখানেও সেরকম কিছু বিষয়ে শোনা যাচ্ছে।

“ভারতীয় কোম্পানির কোরিয়া ব্লগিং ব্যবহারের কারণে ভারতীয় কোম্পানি যেমন কেভিন কোম্পানির স্পেসিফিকেশন গারের বিষয়ে প্রচার এবং ভারতের পাশের দেশ সিঙ্গাপুরের গারির মোড়কসহ বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে,” বলেন অধ্যাপক শওকত।

“ভারতীয় কোম্পানি এমনকি ভারতের স্টেট ব্যাংক, আইসিআইসিআই ব্যাংক, ইউকৃতের মতো বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে প্রচার চালাচ্ছে,” যোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসেবক অধ্যাপক শওকত আলী।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক সেবার মতো কোম্পানির কোরিয়া ব্লগিং ব্যবহারকারী প্রচারে ‘বিনামূল্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যাবে’ বা ‘বিনামূল্যে দুর্ঘটনা বীমা পাবেন’ এবং ‘ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ২০০০ রুপি পাবেন’ বা ‘আইসিআইসিআই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ২২০০ রুপি পাবেন’ এমন ট্যাগলাইন নিয়ে প্রচার রয়েছে।

তিনি যোগ করেন, ভারতীয় কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করতে কোরা ব্লগ লিখতে হবে।

ব্যাংক, গারীসহ ভারতীয় কোম্পানির পণ্য পেতে কোরা ইনফ্লুয়েন্সারদের কি করতে হবে?

অথবা কোম্পানির গাড়ি বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো একটি বিষয় লেখার জন্য তাদের কোরা ব্লগ ব্যবহারকারীদের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। এবং কোরিয়ান কোম্পানির মতো তাদের ব্লগ লিখতে বলা হচ্ছে।

“কোরিয়ান কোম্পানির মতো ভারতের কোম্পানি মোবাইল ফোনে কোরা ব্লগিং ব্যবহারকারীদের ফেসবুক গ্রুপের অনুসরণ করতে বা যোগ দিতে বলছে। এবং সিস্টেমটি কি ধরনের এবং গাড়ির বিকল্পের মতো তাদের বিশেষ তথ্যগুলো জানতে চাইছে,” তিনি যোগ করেন।

“ভারতীয় কোম্পানির মতো কোরিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশের কোরা ব্লগিং ব্যবহারকারীদের মধ্যেও প্রচার করছে। কোরিয়ান কোম্পানির কর্মকর্তাদের মতে, তারা কোরিয়ান কোম্পানি যাতে বাংলাদেশীদের মধ্যে অগ্রাধিকার পায় সেজন্য সব ধরনের সহযোগিতা কর্মসূচি চালিয়ে যাবে,” যোগ করেন অধ্যাপক শওকত।

“এছাড়াও বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে বৈঠকের সময় তারা এর আগেও কোরিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের পণ্য বিতরণ নিয়ে কথা হয়েছে,” বলছিলেন অধ্যাপক শওকত।