বাংলাদেশের ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সার কিভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে কাজ খুঁজে পায়
বাংলাদেশের প্রায় ১২ কোটির অধিক নাগরিক ভাইবার ব্যবহার করে।
ভাইবার বাংলাদেশে একটি অন্যতম পরিচিত যোগাযোগ মাধ্যম এবং এটি বাংলাদেশি জনগণের দ্বারা অন্যান্য বিদেশি মিডিয়ার ব্যবহার তুলনায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
এটি বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিশ্বে বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ভাইবার ব্যবহার করে।
বাংলাদেশের প্রায় ৩৩% নাগরিক কারো না কারো মাধ্যমে ভাইবারের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছে, যখন পরবর্তী দুইটি কম জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে রয়েছে ফেইসবুক ও টুইটার, যথাক্রমে ২১% ও ২০% ব্যবহারকারী।
ভাইবারকে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে বাংলাদেশের খাদ্যে যেমন পেয়াজ লাগে তেমনিভাবে খাদ্যে ভাইবার যাদুর মতো লাগে।
📢 ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং গ্লোবাল, মার্কেটিং বাংলাদেশ
এর আগে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর বন্ধু-বান্ধবদের মাধ্যমে ভাইবারে সংযুক্ত হয়ে এই ভাইবার ব্যবহার শুরু হয়েছে।
এখন বাংলাদেশের প্রায় সবাই দেখা করবে, কথা বলবে, চতুর্থ পর্বে গিয়ে দেখা হবে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিরিয়াল বা লাইনের মধ্যে কথা বলবে, চাঁদে যাবে, এবং আবার একত্রে লাইভ কথা বলবে ভাইবারের মাধ্যমেই।
যেমন করে বাংলাদেশে কথা বলার বাহনের দৌলত যোগাযোগ উন্নতি হয়েছে, সেরকম ভাবে উন্নতি ঘটে ভাইবারের মাধ্যমেও।
অন্যান্য বিদেশী যোগাযোগ মাধ্যমের তুলনায় ভাইবার বাংলাদেশিদের কাছে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সাররা এখন নিজেদের প্রচারে বিদেশের বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সাররা বাংলাদেশ থেকে বেশি লাইকের সেলস পেতে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সাররা কিভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে কাজ খুঁজে পায় এবং বাংলাদেশে ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজের ক্ষেত্র প্রশস্ত কিভাবে তা বিগত সময়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।
কিছু কষ্টসাধ্য কাজের মধ্য দিয়ে ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রচারণার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।
📢 বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে শ্রেষ্ঠ হতে হবে
ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্লায়েন্ট হচ্ছে বিজ্ঞাপনদাতারা এবং তাদের সামনে জনপ্রিয় হতে হবে।
এজন্য গায়ক-গায়িকা, মডেল, প্রাক্তন মিস বাংলাদেশ বা মিস বিশ্ব, বাংলাদেশের বড় বড় মসজিদ কিংবা দর্শনীয় স্থানের ছবি পোস্ট দিয়ে বিজ্ঞাপনদাতাদের আকর্ষণ করতে হচ্ছে।
চাকরির জন্য অন্যান্য দেশের বিপরীতে গোল্ডেন ভিসার কারণে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বাংলাদেশ থেকে যেখানে স্বল্প সুদে ঋণ করে মাসে মাসে বাইরের দেশে যাওয়া সম্ভব নয়, সেখানে গোল্ডেন ভিসা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়া অনেক বাংলাদেশিদের স্বপ্ন পূরণের মতো।
গোল্ডেন ভিসার মাধ্যমে যারা অবস্থান করছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে, তারা প্রায় সবাই মিলিটারি, পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিক।
এদের অনেকেই অনুভব করেছেন বাংলাদেশীরা সেখানে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
কিন্তু কেন সেখানে থাকছেন না বাংলাদেশিরা?
এজন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পাসপোর্টের ভিসা নিয়ে সকলের সামনে সেলফি, ছবি, ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের মধ্যে কিছু ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারও রয়েছেন।
📢 ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারদের কিছু সাফল্য
অনেক কষ্ট সাধনার করুনা স্বরূপ অনেক কিছু হলেও ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার পর থেকেই অনেকের জীবনে অনেক ভালো পরিবর্তন এসেছে।
প্রথমত, ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সাররা কষ্ট করে হলেও মার্কেটিং পেশায় প্রবেশ করতে পেরেছেন। তার উপর বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে মার্কেটিং পেশায় কাজের স্বাদ নিয়ে এসেছেন।
এইভাবে বাংলাদেশের বাজারে সবসময় দুর্দান্ত মার্কেটিং পেশাদারদের ভিড় পড়ে থাকবে।
অবশ্যই এই কষ্টসাধ্য কাজ করার জন্য ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারদের একজন মক্কেল বা ক্লায়েন্টও থাকতে হবে।
এমন ক্লায়েন্ট বা মক্কেল হচ্ছে বিজ্ঞাপনদাতা। বাংলাদেশের ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সাররা কিভাবে এসব বিজ্ঞাপনদাতা বা ক্লায়েন্ট খুঁজে পায় সেটি নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
📢 কিভাবে বিজ্ঞাপনদাতাদের পাওয়া যায়
ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে সহযোগিতা করতে বিজ্ঞাপনদাতাদের তাগিদ অনুভব করতে হবে।
তাদেরকে যথাযথভাবে গুগল অথবা ব্যাকলাইনিং সাইটগুলোর সাহায্যে অনুসন্ধান করতে হবে।
তাদেরকে বাংলাদেশী ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সার, ভাইবার মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ, ভিভিআইপি বাংলাদেশ ইত্যাদি রকম বিভিন্ন কীওয়ার্ড ব্যবহার করে সন্ধান করতে হবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মার্কেটিং ভেডিওগুলো।
বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য তাদের কাছে যেতে কিছু সময় লাগতে পারে, তবুও নির্দেশিত কয়েকটি জিনিস কাজে লাগালে তারা দ্রুত ভিভিআইপির কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হতে পারেন।
মার্কেটিং পেশায় বিখ্যাত সফল বিজ্ঞাপনদাতাদের অনুসরণ করতে হবে, তাদের ফলোয়ার হতে হবে।
এবং তাদের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করতে হবে।
তাদের মতো হয়ে উঠতে চেষ্টা করতে হবে।
তাহলে তারা তাদের অনুসারী এবং ভক্তদলকেও উপস্থিত মার্কেটিং পেশায় কাজ লাগিয়ে নিজস্ব বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন।
📢 ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারদের পরিশ্রমের ফল
ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারদের কষ্ট সাধনার সাফল্য বিশ্ব মিডিয়াতে প্রচুর শিরোনামও করেছে।
বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের গত কয়েক বছরে এসব কষ্টসাধ্য ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারের সাফল্য এবং বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়া অর্থনীতি নিয়ে, বিশ্ব মিডিয়াতে রকমারি খবর প্রকাশ হয়েছে।
অনেক ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেদের ভাইবারের ছবি এবং ভিডিওকে গুগল বা ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠিত মিডিয়াগুলোর কনটেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে প্রচারিত করা হচ্ছে।
অথচ বাস্তবতা হচ্ছে তারা নিজেকে ভাইবার মার্কেটিং এজেন্সির মালিক হিসেবে গুগল বা ইউটিউবে উপস্থিত রেখেছেন।
তথাকথিত ভাইবার মার্কেটিং এর রহস্য জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা সৌদি আরবের ভিসার প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে নিচে তার হেল্পলাইন নম্বর দিয়ে রেখেছেন।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তার হেল্পলাইন নম্বর হচ্ছে ভাইবার অ্যানিমেটেড না বুঝে পাঠানোর নম্বর।
📢 বাংলাদেশের ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারদের অবস্থা
নিচে তাদের ফোন নম্বর এবং ব্যবহারকারীর নামের সাথে সাথে তাদের কাজের মাধ্যমেও অনেক কিছু বোঝা যাবে।
বাংলাদেশের ভাইবার ইনফ্লুয়েন্সারদের অবস্থা এমন যে, তারা কে কীভাবে ব্যবহার করে, সেটার জন্য তাদের শ্রীমতি অথবা মালিকানার অবস্থান থাকতে হবে।
এবং তারা মুজিব, রাহমান, হাসান, সুলতান, শফিক, মোজাম্মেল, কাদি, আবু কিংবা আকবর নামগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
এবং তারা সম্ভাব্যভাবে শুধু সেলফি নিতে হবে, ভিডিওতে কথা বলার সময় সেলফিতে কারো না কারো সাথে থাকতে হবে।
এবং পরিধানে থাকতে হবে, পারফর্মেন্স দেখতে হবে কেমন।
এবং কেউ যদি তাদের নিয়ে সন্দেহ করে তাহলে তারা গুগল ফর্ম দিয়ে ক্রিমেন্ট বা প্রমাণ করতে চাইলে প্রমাণ করে মার্কেটিং পেশায় প্রবেশ করতে পারবে।