২০২৫ সালে টেলিগ্রামে চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতার জন্য প্রভাবকরা কিভাবে খুঁজে বের করবে
বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো, বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ব্যবহারকারী সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, যা বাংলাদেশের টেলিগ্রামের প্রভাবশালীদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ নিয়ে এসেছে। ২০২৫ সালের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারদের চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতায় আগ্রহী হয়ে উঠলে, তাদের এই বাজারকে ধরার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
📢 বাংলাদেশে টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ের অবস্থান
বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং দৃশ্যমান। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন কারণে টেলিগ্রাম ব্যবহার করছে, সহিংসতার হুমকির কারণে নিরাপত্তা, সরকারী নিয়ন্ত্রণের কারণে স্বাধীনতা এবং অনেক টেলিগ্রাম চ্যানেল জুড়ে সস্তা পণ্য পাওয়ার কারণে বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারদের প্রচার করার সুযোগ হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ে সবচেয়ে বড় বাজারগুলির মধ্যে একটি এবং অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সাররা চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতায় বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী হবে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক কর্তৃক পরিচালিত একটি জরিপের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩৪% টেলিগ্রাম ব্যবহারকারী রয়েছে।
💡 বাংলাদেশে টেলিগ্রামে ইনফ্লুয়েন্সাররা কিভাবে কাজ করে
বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত ১৫০০-৫০,০০০ সদস্যের টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং ১০,০০০-৫০,০০০ সদস্যের টেলিগ্রাম গ্রুপগুলোর মালিকানায় থাকে।
বাংলাদেশে টেলিগ্রামের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রভাবকরা সাধারণত টেলিগ্রামে পণ্যের প্রচারের জন্য টাকা পায়। তারা সিগন্যাল এমটিএস মোবাইল সিম কার্ড, সাওয়াবি সিম কার্ড, সেসবেট সাইট, সরকারী চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক জুয়া খেলার সাইট এবং অনেক টেলিগ্রাম চ্যানেল জুড়ে সস্তা পণ্যগুলোর প্রচার করে।
বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য সবচেয়ে বড় মূলধন হল তাদের সদস্য সংখ্যা। সুতরাং, টেলিগ্রামের বিভিন্ন চ্যানেল এবং গ্রুপের মালিকরা তাদের চ্যানেল এবং গ্রুপে সদস্য বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে।
📊 বাংলাদেশে টেলিগ্রামে প্রভাবশালীদের জন্য সহযোগিতার সুযোগ
এখন সবার হাতে মোবাইল ফোন এবং সহজে নেটওয়ার্কে প্রবেশের সাথে, বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে প্রায় ৭০% মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় ৩০% মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করে।
বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটিং কনফারেন্স ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৪০% ব্যবহারকারী স্বীকার করেছেন যে তারা টেলিগ্রামে পণ্য এবং সেবার বিজ্ঞাপন দেখার পরে কেনাকাটা করতে উৎসাহিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের তরুণরা টেলিগ্রামে প্রচারিত বিভিন্ন পণ্য কেনা এবং বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া চ্যানেলে শেয়ার করা নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। এই কারণে, বাংলাদেশের ইনফ্লুয়েন্সাররা চীনা ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য প্রচার করতে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করবে।
সময়মতো পণ্য সরবরাহের জন্য চীন সরকার দেশে তাদের সামুদ্রিক পরিবহন যুক্ত করেছে। সামুদ্রিক পরিবহনের কারণে চীন থেকে পণ্য আমদানি করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য অপেক্ষা আরও সংক্ষিপ্ত হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশে চীনা পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।
❗ বাংলাদেশে চীনা পণ্য কেন প্রচার করবেন না
যদিও বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারদের চীনা পণ্য প্রচারে আগ্রহী হওয়া উচিত, তবে তাদের অবৈধ চীনা পণ্য প্রচার না করার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবৈধ চীনা পণ্য ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। বাংলাদেশে অবৈধ চীনা পণ্য প্রচারিত হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইবার ক্রাইম টীম বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহায়তায় সেগুলি ব্লক করার জন্য কঠিন পদক্ষেপ নেয়।
যদি বাংলাদেশে অবৈধ চীনা পণ্য প্রচারিত হয়, তাহলে এগুলোর টেলিগ্রামের আদেশ বন্ধ হয়ে যাবে।
📢 ২০২৫ সালে বাংলাদেশের টেলিগ্রামে চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতার জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন
বাংলাদেশের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশে টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি গোপনীয়তা লক চ্যানেল ব্যবহার করতে শুরু করেছে। সাধারণত, বাংলাদেশে টেলিগ্রামে ইনফ্লুয়েন্সাররা অন্যদের তুলনায় একটি বড় সদস্য সংখ্যা রাখে, তবে তারা তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং গ্রুপের গোপনীয়তা লক করতে চায়।
লকড টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোর সদস্য সংখ্যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কাছাকাছি থাকে। বাংলাদেশে টেলিগ্রামের ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটাররা লকড চ্যানেলে প্রবেশের জন্য তাদের সদস্যদের থেকে টাকা নেয়।
বাংলাদেশে টেলিগ্রামে চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশী টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারদের নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
💡 লকড চ্যানেল এবং গ্রুপ তৈরি করুন
আপনার পণ্যের প্রচারের জন্য একটি লকড টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং গ্রুপ তৈরি করুন। লকড টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং গ্রুপের সদস্য সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
লকড চ্যানেল এবং গ্রুপের গোপনীয়তা স্বাভাবিকভাবেই একটি বাজার তৈরি করে। এই কারণে, বাংলাদেশী অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা লকড টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং গ্রুপ থেকে টাকা অর্জন করে।
সুতরাং, আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং গ্রুপ লকড হলে পণ্য প্রচারের জন্য অনেক ব্র্যান্ড এগিয়ে আসবে।
📊 বাংলাদেশে সস্তা পণ্য নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশের সরকার টেলিগ্রামের বিভিন্ন চ্যানেল এবং গ্রুপে প্রচারিত জুয়া এবং অন্যান্য সস্তা পণ্য বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। বিনোদন এবং অন্যান্য সস্তা পণ্য প্রচারিত টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং গ্রুপগুলো সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপের কারণে টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটারদের জন্য সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এখানে একটি টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে বাংলাদেশের সস্তা পণ্য প্রচারের জন্য একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
যদি আপনার টেলিগ্রামে সস্তা পণ্য প্রচার থাকে, তাহলে আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেল বা গ্রুপ নিষিদ্ধ হতে পারে। টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং গ্রুপ নিষিদ্ধ হলে, বাংলাদেশে আপনার চীনা ব্র্যান্ডের পণ্য প্রচার করা খুব কঠিন হবে।
🔍 টেলিগ্রামে সস্তা পণ্য প্রচার এর নিষিদ্ধ
বাংলাদেশের টেলিগ্রামে সস্তা পণ্য প্রচার করে এমন একজন সচেতন সস্তা পণ্য প্রচারক ডাক্তার আসিফ। ডাক্তার আসিফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের একজন ডাক্তার।
তিনি বাংলাদেশের টেলিগ্রামে সস্তা পণ্য প্রচারে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। সস্তা পণ্য প্রচারে তার ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার পর থেকে ডাক্তার আসিফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগে তার চাকরি হারান।
ডাক্তার আসিফ বাংলাদেশে সস্তা পণ্য প্রচারে ৫টি টেলিগ্রাম চ্যানেল কৃত্রিমভাবে তৈরি করেন। এর মধ্যে ৩টি টেলিগ্রাম চ্যানেল নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
📢 চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতা করতে হলে পরিশীলিত মার্কেটিং করুন
বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সাররা চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতার জন্য আগ্রহী হলে তাদের প্রচার কৌশল উন্নত করতে হবে। বাংলাদেশী টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সাররা সস্তা পণ্য প্রচারের জন্য তাদের প্রচারের জনপ্রিয়তা ব্যবহার করতে হবে।
যদি বাংলাদেশি টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সাররা বাংলাদেশে সস্তা পণ্য প্রচার করা বন্ধ করে দেয়, তবে তারা চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে।
বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সাররা শর্তসাপেক্ষে সস্তা পণ্য প্রচার করতে পারলেও, তারা চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত থাকতে হলে তাদের প্রচার কৌশল পরিশীলিত করতে হবে।
📊 টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ২০২৫ সালের বাংলাদেশে চীনা ব্র্যান্ডের জন্য বাজার প্রসারিত করবে
বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩৪% টেলিগ্রাম ব্যবহার করে। ১৫০০-৫০,০০০ সদস্যের টেলিগ্রাম চ্যানেলের মালিকানায় থাকা বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সাররা চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতায় আগ্রহী।
বাংলাদেশের টেলিগ্রামে চীনা ব্র্যান্ডের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশের টেলিগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারদের সস্তা পণ্য প্রচার করা বন্ধ করতে হবে।